২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ

ভাইরাল আশিকের ব্যালট বাক্সে ভরাডুবি; হারাতে পারলেন না বামপন্থী নেতা মেঘমল্লারকেও

ভাইরাল আশিকের ব্যালট বাক্সে ভরাডুবি; হারাতে পারলেন না বামপন্থী নেতা মেঘমল্লারকেও

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রচারণার নতুন ঢঙে আলোচনায় এসেছিলেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আশিকুর রহমান।

চোখে সানগ্লাস, ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট ও হাতে লাইটার; এমন ব্যতিক্রমী ভঙ্গিতে তৈরি পোস্টারে তিনি রাতারাতি ‘ভাইরাল আশিক’ হিসেবে পরিচিতি পান। শেষের দিকে এসে ঘোষণা দেন, অন্তত প্রতিরোধ পর্ষদের বামপন্থী নেতা মেঘমল্লার বসুকে হারাবেন। তবে ভোটের বাক্সে সেই জনপ্রিয়তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঘোষিত ফলে দেখা যায়, আশিকুর রহমান পেয়েছেন ৫২৬ ভোট। আর মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯টি ভোট।

অন্যদিকে, বিপুল ব্যবধানে জিএস পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট এক সাক্ষাৎকারে আশিকুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি অন্তত মেঘমল্লার বসুকে হারাব। যারা আদর্শের রাজনীতি করে তাদের মধ্যে সবচেয়ে লোয়েস্ট ক্যান্ডিডেট হলো মেঘমল্লার। ওকে যদি না হারাতে পারি, তাহলে আমার ম্যান্ডেটই থাকবে না।’ কিন্তু ফলাফলে দেখা যায়, ভোটের হিসাবে মেঘমল্লার অনেক এগিয়ে।

এদিকে, ডাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী ও শিবির সমর্থিত আবু সাদিক কায়েম। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। এ ছাড়া নির্বাচনে স্বতন্ত্র জোটের প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট।