মাথা গলিয়ে একটার পর একটা লাল, নীল, সবুজ, ডোরাকাটা গলবন্ধনী (টাই) পরানো হচ্ছে কানাডার রাজনীতিবিদ মারওয়া রিজকির গলায়। এভাবে একবারে ৩৬০টি টাই গলায় পরে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। গত বছরের নভেম্বরে কানাডিয়ান টিভির ইনফোম্যান নামের একটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তিনি এতগুলো টাই একবারে গলায় পরেন। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়েছে তাঁকে। মারওয়া কুইবেকের জাতীয় পরিষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ বছর তিনি তাঁর পরিবার ও ছোট সন্তানদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে জাতীয় পরিষদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
রাজনীতিক হিসেবে কর্মজীবন উদ্যাপনে কুইবেকের ওই অনুষ্ঠানে মারওয়াকে একটি বিশ্ব রেকর্ড গড়তে সরাসরি সম্প্রচারে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। আয়োজকেরা এমন একটি মজার বিষয় বেছে নেন, যেখানে মারওয়াকে একসঙ্গে গলায় ৩৬০টির বেশি টাই পরতে হয়। এতে তিনি ২০২৩ সালে ব্রাজিলের ডেভিড আপারেসিডো দোস সান্তোস আরাউজোর করা রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন। মারওয়া বলেন, ‘আমি একসঙ্গে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক টাই গলায় পরার এই রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি এটা দেখানোর জন্য যে নারী-পুরুষ সমান, আর নারীরাও অনেকগুলো টাই পরতে পারে।’
মারওয়াকে সাহায্য করার জন্য প্রতিটি টাই আগে থেকেই বাঁধা ছিল। এ ছাড়া মারওয়া ও প্রযোজনা দলের সদস্যরা আগেভাগেই এগুলো গলায় পরানোর অনুশীলন করেছিলেন, যাতে গলায় যথেষ্ট জায়গা নিশ্চিত করা যায়। যখন রেকর্ড করার সময় এল, হিসাবরক্ষক পিয়ের-ইভ ম্যাকসুইন মারওয়ার গলায় থাকা সব টাই গুনে দেখেন। মন্ট্রিয়ল পুলিশের প্রধান ফাদি দাঘের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। মারওয়ার গলায় একের পর এক টাই পরিয়ে দেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ও টিভি উপস্থাপক জ্যঁ-রেনে ডুফোর।
আগের রেকর্ড ভাঙতে মারওয়ার সময় লাগে ৪৮ মিনিট। ততক্ষণে বিশাল এক টাইয়ের স্তূপে তাঁর মুখ প্রায় পুরোপুরি ঢেকে যায়। মারওয়ান রোমাঞ্চিত হয়ে বলেন, দারুণ! কিন্তু নতুন রেকর্ড গড়তে আরও ৩০টি টাই পরা বাকি ছিল। সেগুলো পরানোর পর মারওয়ার মুখ প্রায় ঢেকে যায়। টাইয়ের ভেতর থেকেও মারওয়ার হাসি শোনা যাচ্ছিল।
শেষ ৩০টি টাই যখন পরানো শেষ হয় তখন মারওয়ার মুখ শুধু সামান্য উঁকি দিচ্ছিল। তখনই মারওয়া অবশেষে রেকর্ডের খেতাব অর্জন করেন! ঘরে করতালির ধ্বনি বেজে ওঠে, আর কাপড়ের স্তূপের ভেতর থেকেও শোনা যাচ্ছিল মারওয়ার হাসি। মারওয়া গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখে ফেলেন। এ রেকর্ডের পর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ তাঁকে অভিনন্দন জানায়।