১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯৪ নারী কারাগারে; ৫৪ বছরে কার্যকর হয়নি একটিও

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নারীর সংখ্যা এখন ৯৫ জন। এরমধ্যে ৯৪ জন দেশের বিভিন্ন কারাগারে আছেন। তবে স্বাধীনতার পর গত ৫৪ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো নারীর ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়নি।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) পর্যন্ত দেশের সব কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা মোট দুই হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ৯৪ জন। শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ায় এই সংখ্যা এখন ৯৫ জনে দাঁড়াল।

কারাগারের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৯৪ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নারী কয়েদির মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৪ জন নারী কয়েদি আছেন।

কারা কর্মকর্তারা জানান, ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়। কোনো সেলে একজন, আবার কোনো সেলে একাধিক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি থাকেন। কিন্তু দেশের ইতিহাসে এখনও কোনো নারী আসামির ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়নি।

উদাহরণস্বরূপ, বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফাঁসির আদেশের পর মিন্নিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়। আপিল নিষ্পত্তির জন্য এটি বর্তমানে হাইকোর্টে রয়েছে।

কারা সূত্র জানায়, গতকাল পর্যন্ত দেশের সব কারাগারে মোট বন্দির সংখ্যা ৮২ হাজার। বর্তমানে ১৪টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৬০টি জেলা কারাগার রয়েছে। এসব কারাগারের মোট ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৭৭ জন। সেই হিসাবে ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দি রয়েছে।

এছাড়া কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন রমজানে ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে প্রচলিত একটি ধারণার বিষয়ে বলেন, কারাগারের নিয়ম-প্রথা নিয়ে বাইরের মানুষের মধ্যে নানা মিথ রয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেন, দেশে রমজানে কারও ফাঁসি কার্যকর হয় না। আইনে এমন কিছু বলা নেই। তবে সাধারণ মুসলিম দেশ হিসেবে রমজানে কারও ফাঁসি কার্যকর করা হয় না।