ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে দুটি দুর্গাপূজার মণ্ডপ এখন তীব্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিতর্কিত প্রতিমা প্রদর্শনের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করা যেন ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলছেন অনেকে।
এই মণ্ডপগুলোতে অসুর বা রাক্ষস হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রতিমূর্তি দেখানো হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, খাগড়া শ্মশানঘাট দুর্গাপূজা কমিটি তাদের অসুর হিসেবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেছে নিয়েছে। কমিটির মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর বাণিজ্য নীতি এবং কঠিন ভিসা ব্যবস্থার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বন্ধু ভাবতেন, কিন্তু ট্রাম্প তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই তাকে অসুর হিসেবে দেখানো হয়েছে।
অন্যদিকে, খাগড়া সাধক নরেন্দ্র স্মৃতি সংঘের মণ্ডপে অসুর হিসেবে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে।
তার পাশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিচ্ছিন্ন মাথাও দেখা যায়। এই মণ্ডপের প্রতিপাদ্য ‘ধ্বংস’ দিয়ে জাতির প্রতি হুমকি দূর করার প্রতীক তুলে ধরা হয়েছে।
এই প্রতিমাগুলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কিছু দর্শনার্থী এটিকে ‘সাহসী রাজনৈতিক বিবৃতি’ হিসেবে দেখছেন।
আবার অনেকে একটি ধর্মীয় উৎসবে রাজনীতি টেনে আনাকে অনুপযুক্ত বলে মনে করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই নিয়ে বিতর্ক চলছে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘এটা ঠিক নয়। পূজা কোনো তামাশা নয়।’
এই বিতর্ক সত্ত্বেও মণ্ডপ দুটিতে প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। এই ঘটনাটি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনার বিষয়টিকেও সামনে এনেছে।