সাজা ঘোষণার ক্ষেত্রে নারী হিসেবে কোনো সহানুভূতি পাবেন না শেখ হাসিনা—এ কথা জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘোষণা হবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর)। গত ১৩ নভেম্বর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ তারিখ নির্ধারণ করে।
রায় ঘোষণা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। পাশাপাশি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে বড় স্ক্রিনে রায় দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজেও রায় সম্প্রচার করা হবে।
এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আরও দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এদের মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ইতোমধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তিনিই একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পরে গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম কার্যক্রমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তদন্ত শেষে অভিযোগ গঠন করা হয় গত ১০ জুলাই।
পাঁচটি অভিযোগে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চার্জ দাখিল করা হয়। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে—উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, আবু সাঈদসহ আন্দোলনকারীদের হত্যার অভিযোগ এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ।
রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে। তাদের পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী খালাস চেয়েছেন। রাজসাক্ষী মামুনের পক্ষ থেকেও খালাসের আবেদন করা হয়।
গত ২৩ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল জানায়, রায় ঘোষণা করা হবে ১৭ নভেম্বর।