১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত

কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) ভোরে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। এই উদ্যোগে কাতারের পাশাপাশি সহ-মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্ত ছিল তুরস্কও।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দোহায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। আলোচনার ফলেই উভয় দেশ তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার লক্ষ্যে ভবিষ্যতে ফলোআপ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে আফগানিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব, আর পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সাম্প্রতিক দুই সপ্তাহে সংঘর্ষে শতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে এবং আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে, আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) আশ্রয় পাচ্ছে। এই অভিযোগে পাকিস্তান কাবুলে বিমান হামলা চালায়, জবাবে আফগান বাহিনী সীমান্তে পাল্টা আক্রমণ করে।

এর আগে, দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল, কিন্তু সেটি ভেঙে যায় নতুন করে বিমান হামলার মাধ্যমে।

গত শুক্রবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে টিটিপির আত্মঘাতী হামলায় সাত সেনা নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আফগান সরকার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কাতার ও তুরস্কের এই কূটনৈতিক উদ্যোগ দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এখন দেখার বিষয়, এই যুদ্ধবিরতি কতটা টেকসই হয় এবং উভয় পক্ষ কতটা আন্তরিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে পারে।

সূত্র, রয়টার্স