ইউরোপের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ পর্তুগালে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনের দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি বিশ্ব কূটনীতিতে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানী লিসবনে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ধারাবাহিকতায় পর্তুগিজ সরকার এই পদক্ষেপ নেয়। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রান্জেল বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়, তাই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা জরুরি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৩তম দেশ হিসেবে পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল। এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পর্তুগালের এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক মহলে সাহসী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এটি স্বাগত জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল ও কিছু পশ্চিমা রাজনৈতিক দল সমালোচনা করে বলেছে, এই স্বীকৃতি শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পর্তুগালের এই পদক্ষেপ দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানকে আরও জোরদার করবে এবং মানবিক সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখবে।