১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

৮ মাস ভারতে আটকে থাকার পর দেশে ফিরলেন ১২ নাবিক

দীর্ঘ আট মাস পর অবশেষে দেশে ফিরেছেন ভারতের সাগর উপকূল থেকে উদ্ধার হওয়া ১২ জন বাংলাদেশি নাবিক। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ট্রাভেল পারমিটের ভিত্তিতে তাদের বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে নাবিকদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার-এর সহায়তায় তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংস্থার ফিল্ড ফেসিলিটেটর শফিকুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন পর এসব নাগরিক নিরাপদে দেশে ফিরেছেন—এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

উদ্ধার নাবিকরা হলেন- বাগেরহাট সদর থানার চেয়ারগ্রামের আরজ আলী শেখের ছেলে রাজিব শেখ (২৬), চিতলমারী উপজেলার বাবুগঞ্জ বাজারের বেতবুনিয়া বোয়ালিয়া গ্রামের ইমদাদুল শেখের ছেলে শরিফুল শেখ (২১), একই এলাকার হুমায়ন শেখের ছেলে বাপ্পি শেখ (১৮), ফকিরহাট উপজেলার শুভদিয়া এলাকার ছোট শুভদিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার সরদারের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪২), মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার পানিঘাটা এলাকার মাশাখৈল গ্রামের মিকাইল ফকিরের ছেলে মিহাত ফকির (২২), একই এলাকার আকরাম ফকিরের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৯), নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া কালিগঞ্জ এলাকার লাহুরিয়া পশ্চিমপাড়ার আবুল হোসাইন মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লা (২৫), একই এলাকার মাহাবুবুর রহামানের ছেলে জিহাদ মোল্লা (২৫), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা এলাকার কুরালিয়া গ্রামের হাবিবুর শেখের ছেলে আল আমিন শেখ (৩২), একই এলাকার শের আলীর ছেলে সাগর হোসেন (২৬),লোহাগড়া উপজেলার ইতনা এলাকার ইদ্রিস শেখের ছেলে আহাদ শেখ (২৫) ও যশোর সদর উপজেলার কচুয়া এলাকার কচুয়া সাতঘরিয়া পাড়ার মৃত মহিউদ্দিন শেখের ছেলে জসীমউদ্দীন শেখ (৫৩)।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশাল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে সিমেন্টবোঝাই ‘এমভি সি ওয়ার্ল্ড’ নামের একটি জাহাজ ভারতগামী পথে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন জেলার সাগর থানার ঘোড়ামারি দ্বীপ নদীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে যায়। জাহাজডুবির পর ভারতীয় পুলিশ ওই ১২ জন নাবিককে উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর হাইস্কুল সাইকোন সেন্টারে আশ্রয় দেয়। প্রায় আট মাস মানবিক সহায়তায় সেখানে থাকার পর দুই দেশের সরকারের সমন্বয় ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তারা অবশেষে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে সক্ষম হন।