সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, “দেশের যে পরিস্থিতি, ভালো থাকুক বাংলাদেশ।”
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে মো. রিয়াজ (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহতের মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে কারাগারে যাওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় বারবার একই কথা বলতে থাকেন ব্যারিস্টার সুমন।
আজ সকালে কারাগার থেকে ব্যারিস্টার সুমনসহ সাতজন আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের এজলাসে ওঠানো হয়। তাদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। শুনানি শেষে সকাল সোয়া ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের আবার হাজতখানায় নেওয়া হয়।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক এবং সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
শুনানি চলাকালীন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জন্য তার আইনজীবী মহসিন রেজা ‘স্যান্ডইচ ও ড্রাই ফুড’ দেওয়ার অনুমতি চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন। পরে আদালত খাবার দেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। আইনজীবীর দাবি, বয়স্ক আমির হোসেন আমু অসুস্থ এবং তাকে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হয়। তবে আদালত তাতে অনুমতি দেননি।
রিয়াজ হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিয়াজ। ওই ঘটনার পর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।