ইরাক সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ ও ১৪ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে দুই দিনব্যাপী জয়েন্ট কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
বৈঠকে নিরাপদ, নিয়মিত ও সুশৃঙ্খল শ্রম অভিবাসন নিশ্চিত করা, ইরাকে দক্ষ, আধাদক্ষ এবং অদক্ষ কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা, এবং সেখানে কর্মরত অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার শেষে উভয় পক্ষ একটি ‘রেকর্ড অব ডিসকাশন’ স্বাক্ষর করে।
ইরাক জানায়, বিভিন্ন সেক্টরে কর্মী ভিসা প্রদান ও নিয়োগের প্রক্রিয়া দূতাবাসের সত্যায়নের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে ইরাকে গমনেচ্ছু বাংলাদেশি কর্মীরা দেশ ছাড়ার আগে কর্মসংস্থান চুক্তি সই করে যাবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, ইরাকের কোন কোন সেক্টরে কর্মীর চাহিদা রয়েছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস তথ্য সংগ্রহ করে কর্মী পাঠাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। ইরাকে কর্মরত অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণের বিষয়ে ইরাকি প্রতিনিধিদল ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার অনিয়মিত কর্মীদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিয়মিতকরণের অনুরোধ জানাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইরাক সরকারের কাছে একটি আবেদন পাঠাবে।
সমঝোতা চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমাদুল হক, এবং ইরাকের পক্ষে মিডিয়া, আরব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মহাপরিচালক কাজিম অব্দুর রেজা খাইয়ুন আত-ওয়ানি স্বাক্ষর করেন।
এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ইরাকি প্রতিনিধিদল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।