২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আজ মাঠে নামছে টাইগাররা

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানদের বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে পরাজয় হলেই এশিয়া কাপ থেকে বিদায়।

ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায়। সরাসরি দেখা যাবে নাগরিক টিভি আর টি-স্পোর্টসে। অনলাইনে টফি আর ট্যাপম্যাড অ্যাপে।

হংকংয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু পরের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাজেভাবে হারে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সমীকরণ বলছে, আসরে ২ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট। দুই ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট শ্রীলঙ্কার। এক ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট আফগানিস্তানের। আজ আফগানিস্তানকে হারানোর বিকল্প নেই বাংলাদেশের জন্য। তবে বাংলাদেশের কাছে হারলেও সুপার ফোরে খেলার সুযোগ থাকবে আফগানিস্তানের। তখন শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে আফগানদের।

টি-টোয়েন্টির মারকাটারি খেলায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আফগানরা। বোলিংয়ে রশিদ খানের সঙ্গে নূর আহমেদ-গজনফাররা দুর্দান্ত করছেন। ব্যাটিংয়েও রহমানুল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে সেদিকুল্লাহ অটলরা আস্থার প্রতিদান দিচ্ছে। সুপার ফোরের সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে তাই দুই বিভাগেই পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। সেই পরীক্ষায় বাংলাদেশের অতীতও ভালো নয়।

পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিপক্ষে ১২ বার মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের জয় পাঁচটি, বাকি সাতটি ম্যাচেই জিতেছে রশিদ-নাবীরা। এশিয়ার মঞ্চেও পাঁচ দেখায় তিন জয় আফগানদের। ২০২২ সালে এশিয়া কাপে একমাত্র টি-টোয়েন্টির দেখায়ও ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই আফগানিস্তানের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। বিপরীতে প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে রশিদ খানরা। চলতি বছরের শুরুতেও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে আফগানরা। সেই সব আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ মাঠে নামবে তারা।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের চেয়ে আরও একদিকে দিয়ে রশিদ খানের দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব মাঠই আফগানিস্তানের হাতের তালুর মতো পরিচিত। নিরাপত্তার কারণে গত কয়েক বছর ধরেই আফগানিস্তান তাদের হোম ম্যাচগুলো খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যে কারণে হোম অ্যাডভান্টেজও পাবে আফগানরা।