১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি পড়ুয়াদের নিয়োগ দিতে ধর্ম উপদেষ্টার চিঠি

কওমি মাদরাসা পড়ে দাওরায়ে হাদিস সনদ অর্জনকারীদের দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত কওমি মাদরাসার ছাত্রের দাওরায়ে হাদিসের সনদ আছে, যেটা বিগত সরকার এমএ অ্যারাবিক ও এমএ ইসলামিক স্টাডিজের সমমর্যাদা দিয়েছিল, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে তাদের নিয়োগ দিলে তারা ধর্ম, বাংলা- এগুলো খুব ভালো করে পড়াতে পারবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে আমি আধা সরকারি পত্র দিয়েছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।’

তিনি আরও জানান, হেফাজতে ইসলাম যে দাবি করেছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি- তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. খালিদ হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন কোন সাবজেক্টভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ হবে, সেটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়, এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তবে হেফাজতে ইসলামের নেতারা যে দাবি করছেন, সেটা আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি যে এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। যেহেতু হেফাজতে ইসলামসহ আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে সংগীতকে সাবজেক্ট হিসেবে ইনক্লুড করা নিয়ে আপত্তি আছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আমাকে জানিয়েছেন, ধর্মীয় শিক্ষক নামে বিদ্যালয়ের কোনো পদ নেই। সহকারী শিক্ষকরাই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম এগুলো পড়ান।’

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষার ক্লাস এরই মধ্যে বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটা ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) ৬/৭ মাস আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হেফাজতের আপত্তি পর্যালোচনার মধ্যে রেখেছে। হেফাজতের দাবি ও বিভিন্ন ইসলামিক দলের দাবির ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনা করছে। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল হবে কি না- সেটিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।’