১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর অভিযোগে মুখ খুললেন ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার নীলক্ষেতে ছাপানোর অভিযোগে অবশেষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ব্যালট ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করে না। কারণ ব্যালট ভোটের জন্য প্রস্তুত করতে প্রিন্টিং, কাটিং, সুরক্ষা কোড আরোপ, ওএমআর স্ক্যানিং এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সিল-স্বাক্ষরসহ কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়।

ভিসি লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে অভিজ্ঞ একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। দ্রুত সময়ে ব্যালট প্রস্তুতের স্বার্থে মূল ভেন্ডরের পাশাপাশি একই টেন্ডারের অধীনে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে নীলক্ষেতে ছাপানোর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগেভাগে জানানো হয়নি।

ভেন্ডরের তথ্যমতে, নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপানো হয়। কাটিং ও প্রি-স্ক্যান শেষে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালট প্রচলিত নিয়মে নষ্ট করা হয়। এরপর প্যাকেটে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সরবরাহ করা হয়।

উপাচার্য জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট প্রস্তুত করা হয়। ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন, এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন। ব্যবহৃত ব্যালট ছিল ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি এবং অবশিষ্ট থাকে ৬০ হাজার ৩১৮টি।

সিসিটিভি ফুটেজ ও ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রার্থীরা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে বিশেষজ্ঞ বা দায়িত্বপ্রাপ্তদের উপস্থিতিতে তা দেখা যাবে।

সবশেষে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, “ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা কোনোভাবেই নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ক্ষুণ্ন করেনি; পুরো প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে।”