১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা হৃদরোগ থাকলে মিলবে না মার্কিন ভিসা!

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ডায়াবেটিস, স্থূলতা বা হৃদরোগসহ নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য ভিসা আবেদন বাতিল করা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবেদনকারীর স্বাস্থ্য সমস্যা বা বয়সের কারণে যদি মনে হয় তারা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদের ওপর ‘পাবলিক চার্জ’ বা বোঝা হয়ে উঠতে পারেন, তাহলে তাদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হবে।

এই নতুন নীতির ফলে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট কর্মকর্তারা এখন আবেদনকারীর স্বাস্থ্যগত অবস্থার ভিত্তিতে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা পাবেন। অতীতে শুধুমাত্র সংক্রামক রোগের স্ক্রিনিং করা হলেও এখন এর পরিধি বাড়িয়ে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, বিপাকীয় ও মানসিক রোগ পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় লাখ লাখ ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলেও নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ক্যাথলিক লিগ্যাল ইমিগ্রেশন নেটওয়ার্কের সিনিয়র অ্যাটর্নি চার্লস হুইলার বলেন, এই নির্দেশনা প্রায় সব ভিসা আবেদনকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, তবে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে ইচ্ছুকদের জন্য এটি আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ভিসা কর্মকর্তাদের অবশ্যই যাচাই করতে হবে আবেদনকারীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ সরকারি সাহায্য ছাড়া নিজে বহন করার সক্ষমতা আছে কি না। এক নির্দেশনায় সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছে—আবেদনকারীর কি পর্যাপ্ত আর্থিক সম্পদ আছে, যা দিয়ে তিনি সরকারি সহায়তা ছাড়া জীবনের পুরো চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারবেন?

আইনজীবী হুইলার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই নির্দেশিকা স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব *ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যানুয়াল*-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, ওই ম্যানুয়াল অনুযায়ী ‘সম্ভাব্য’ অনুমানের ভিত্তিতে ভিসা প্রত্যাখ্যান করা যায় না। তাছাড়া, ভিসা কর্মকর্তারা চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষিত না হওয়ায় তাদের ব্যক্তিগত অনুমান পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তে রূপ নিতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত এই অভিবাসন নীতির কারণে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ সম্ভাব্য অভিবাসীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

সূত্র: এবিসি নিউজ