বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, এই মুহূর্তে আমাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি হলো জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন। ইনশাআল্লাহ, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হবে—এমন প্রত্যাশাই করছি।
শনিবার (৪ অক্টোবর) পুরানা পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
মামুনুল হক আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরবো না। যারা জুলাই সনদের আন্দোলনে নেই, তাদের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর জুলাই সনদের বাস্তবায়নের পথে যারা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে, তাদের সঙ্গে ঐক্যও সম্ভব নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জুলাই সনদ যদি অবিলম্বে বাস্তবায়ন না হয়, তবে তা কেবল একটি কাগজের দলিল হিসেবেই থেকে যাবে। ভবিষ্যতের কোনো সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে এমন ভরসা নেই। তাই জুলাই বিপ্লবকে সার্থক করতে হলে জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।
কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাঠে থেকে আন্দোলনকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো তাদের দায়িত্ব। এজন্য টার্গেট ভিত্তিক কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি। খেলাফত মজলিস দুটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে—একটি দীর্ঘমেয়াদি, অন্যটি স্বল্পমেয়াদি। দীর্ঘ মেয়াদে লক্ষ্য হলো আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী অনুশাসন কায়েম করা। স্বল্প মেয়াদে লক্ষ্য হচ্ছে যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা।
মামুনুল হক পাঁচ দফা দাবি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপনের জন্য কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এগুলো দলীয় স্বার্থের জন্য নয়; বরং ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য।
প্রশিক্ষণ মজলিসে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল এবং সঞ্চালনা করেন প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেন নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।
দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শেষে কয়েকজনকে সর্বোচ্চ স্তরের জনশক্তি “নকীব” হিসেবে শপথ পাঠ করান আমীরে মজলিস মাওলানা মামুনুল হক।