ওসাকার শাওয়ারহেড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সায়েন্স কোং এই যন্ত্রটি তৈরি করেছে।
১৯৭০ সালে ওসাকার প্রথম এক্সপোতে এমন একটি ধারণা প্রথম দেখা গিয়েছিল, কিন্তু সময়ের সাথে সেটি হারিয়ে যায়। এবার সেটিকে আরো আধুনিক করে ফিরিয়ে এনেছে জাপান।
জাপান আবারো বিশ্বকে চমকে দিয়েছে নতুন এক প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে। ওসাকা এক্সপো ২০২৫-এ উন্মোচিত হয়েছে তাদের অভিনব সৃষ্টি—মানব ধোয়ার যন্ত্র বা আধুনিক গোসল পড। মাত্র ১৫ মিনিটেই কোনো প্রকার পরিশ্রম ছাড়াই শরীরকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে এই যন্ত্র। বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতের গোসল অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, তারই এক ঝলক মিলছে এই উদ্ভাবনে।
কিভাবে কাজ করে এই মেশিন?
গোসল মেশিনটি দেখতে অনেকটা স্বচ্ছ ক্যাপসুলের মতো। ভেতরে প্রবেশ করে বসলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাত্র ১৫ মিনিটেই শরীর পরিষ্কার করে দেয়। নিচের অংশে গরম পানি প্রবাহিত হয়, আর উপরের অংশ থেকে ছিটকে আসে কোমল কুয়াশা। এতে যুক্ত রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর ও এআই প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর হৃদস্পন্দন ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে গোসলের ধরণ নির্ধারণ করে। বিশেষ মাইক্রো বুদবুদের মাধ্যমে ত্বকের ময়লা দূর করে, ফলে গোসলের অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রিক।
আরাম ও বিনোদন – দুটোই একসাথে
গোসলের সময় শুধু পরিষ্কারই নয়, ব্যবহারকারী শুনতে পারবেন হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, সঙ্গে থাকছে স্ক্রিনে ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে। আর গোসল শেষে শরীর এমনিতেই শুকনো, মানে তোয়ালের দরকার নেই।
কারা ব্যবহার করতে পারবে?
বর্তমানে এই মেশিন ওসাকা এক্সপো ২০২৫-এ প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে প্রায় এক হাজার মানুষ এটি ব্যবহার করে দেখতে পারবেন। ভবিষ্যতে মেশিনটির বাড়ির জন্য ব্যবহারযোগ্য সংস্করণ বাজারে আনা হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ, ব্যস্ত কর্মজীবী ও মানসিক চাপ কমাতে চান এমন ব্যক্তিদের জন্য।
তবে এখনো মূল্য ঘোষণা করা হয়নি। অনেকে ভাবছেন, প্রতিদিনের ১০ মিনিটের গোসলের জন্য এত বড় মেশিন দরকার কি না। খরচ ও ব্যবহারযোগ্যতা এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। তবুও, যেহেতু এটি জাপান, যেখানে প্রযুক্তির সাথে কৌতূহলের মিশেল সবসময় মানুষকে টানে, তাই ভবিষ্যতে এই মানব ধোয়ার যন্ত্র অনেক বাড়িতে জায়গা করে নিতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস