১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গুমের মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে

মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সাবেক ও বর্তমান ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশপাশে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, কাকরাইল মোড়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। সেনা, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।

মামলাগুলোর মধ্যে দুটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, আরেকটি মামলা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত অপরাধের ঘটনায়। তিন মামলার মোট আসামি ৩২ জন, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন বর্তমান বা সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

গুম ও নির্যাতনের এক মামলায় আসামি ১৭ জন। তাঁদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন।

এই মামলার পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন র‍্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক — বেনজীর আহমেদ (পরে আইজিপি হন), এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং র‍্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলামও পলাতক হিসেবে তালিকাভুক্ত রয়েছেন।

অন্য মামলায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মশিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুইজন সেনা হেফাজতে আছেন, বাকিরা পলাতক।