শুধু তাই নয়, আয়ের বিস্তারিত প্রমাণ দাখিল করতে বলা হচ্ছে। অর্থাৎ অভিবাসীরা যে কাজ করেন তার প্রমাণ হিসেবে আয়ের ঘোষণাপত্র এমন কী পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হলে, সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী আয়ের হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসী বাংলাদেশি কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, আজ প্রায় ছয় বছর ধরে পর্তুগালে রয়েছি। সব সময়েই স্থানীয় মিনিসিপিলিটি থেকে ঠিকানার প্রমাণপত্র দিয়ে প্রথম রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছি এবং নবায়নও করেছি। বর্তমানে যে নিয়ম বলছে- সে অনুযায়ী বাসার মালিক প্রত্যয়নপত্র দিচ্ছেন না। একদিকে নতুন কঠোর অভিবাসন আইনের হাতছানি অপরদিকে অনেক কষ্টের পর প্রাপ্ত সোনার হরিণ (পর্তুগালের রেসিডেন্ট কার্ড) নিয়ে এক অনিশ্চিতার মধ্যে পড়েছি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর পারিবারিক পুনর্মিলনের শর্ত কঠিন করাসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে কঠোর শর্তারোপ করে নতুন অভিবাসন আইন দেশটির জাতীয় সংসদে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরেই এটি কার্যকর করা হবে।
এমন পরিস্থিতিতে অভিবাসন অধিদপ্তর তাদের নিজস্ব ক্ষমতায় বেশ কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করে যা অন্যান্য দেশের অধিবাসীদের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জীবনেও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। ফলে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া বসবাসের অনুমতিপত্র নবায়ন নিয়ে দেশটিতে বসবাসকারী অন্যান্য অভিবাসীদের ন্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এক অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে রয়েছেন।