আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোরআন অবমাননার ঘটনা আগের সব অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, অথচ পূর্বেও ইসলাম অবমাননাকারীদের এভাবে রক্ষা করার অপচেষ্টা হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, একজন মানসিক রোগী দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে পারে কীভাবে? আর কেন মানসিক রোগীরা বারবার ইসলাম ধর্মের প্রতিই আঘাত হানে?
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি উল্লেখ করেন, আগে হাদিস উল্লেখ করায় এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হলেও, অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি যতক্ষণ না ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছে। তাই প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ অভিযোগ করেন, দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, অপূর্ব পালের কাজ ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির সুস্পষ্ট উসকানি। তাই অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান, অবিলম্বে ধর্ম অবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন প্রণয়ন করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নতুবা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা বারবার ঘটবে এবং দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করবে।