১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে পৃথক হলেও আত্মার বন্ধন এখনো অটুট : মাওলানা ফজলুর রহমান

বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে পৃথক হলেও আত্মার বন্ধন এখনো অটুট : মাওলানা ফজলুর রহমান

বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে স্বাধীন ও পৃথক রাষ্ট্র হলেও আমাদের আত্মিক বন্ধন এখনো অটুট রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান।

তিনি বলেন, মানুষের প্রথম ও মৌলিক অধিকার হচ্ছে স্বাধীনতা। ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য আলেম তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমার পিতা মুফতি মাহমুদ (রহ.) এবং ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা আস‘আদ মাদানী (রহ.) বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হোক—এটাই আমাদের কামনা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়েদ আস‘আদ মাদানী (রহ.) এর জীবন ও কর্ম বিষয়ক আলোচনা সভা ‘আন্তর্জাতিক ফিদায়ে মিল্লাত কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদদীন যাকারিয়া ও ফিদায়ে মিল্লাত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা মাসরুর আহমদ।

সম্মেলনটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মুফতি নাছির উদ্দিন খান, মুফতি জাবের কাসেমী এবং মাওলানা সাইফুদ্দিন ইউছুফ ফাহিম।

জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ ভারতের সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানী বলেন, আমার পিতা ফিদায়ে মিল্লাত মাওলানা সাইয়েদ আস‘আদ মাদানী (রহ.) ছিলেন দ্বীনের এক নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক। ইসলাম, মুসলমান, দেশ ও উম্মাহর কল্যাণে তিনি সারা জীবন নিরলসভাবে কাজ করেছেন। নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে দিল্লির রাজপথে মিছিলও করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইসলামিক স্কলারদের উপস্থিতিতে আমরা তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আস‘আদ মাদানীর ছোট ছেলে মাওলানা মওদুদ মাদানী, জমিয়তে উলামা পাকিস্তানের মাওলানা খালেদ সিদ্দিকী এমপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, জমিয়তে উলামা পাকিস্তানের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল গফুর হায়দারী, মাওলানা ফয়সাল নাদিম, মুফতি শাহ সদরুদ্দিন (ইউরোপ), মাওলানা আলিমুদ্দিন দুর্লভপুরী, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা ড. শুয়াইব আহমদ, মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা রশিদ বিন ওয়াক্কাস, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মাওলানা তৈয়বুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা শেখ নূরে আলম হামিদী, মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী, মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা শামসুল আরেফিন খান সাদী, মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী ও মাওলানা আবির প্রমুখ।