সংযুক্ত আরব আমিরাতে কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন আব্দুল হামিদ নামের ৪৫ বছর বয়সী এক প্রবাসী বাংলাদেশি।
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার এই প্রবাসী ছিলেন জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন স্ত্রী কোহিনুর আক্তার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে গত ২১ এপ্রিল দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে এবং এরপর থেকে তিনি আবুধাবি আল-সদর কারাগারে বন্দি ছিলেন। কারাগারে থাকাকালীন আব্দুল হামিদ পরিবারের সঙ্গে মাত্র দুইবার যোগাযোগ করেছিলেন বলে তার স্ত্রী জানিয়েছেন।
আব্দুল হামিদের পরিবার দাবি করেছে, তিনি ২২ সেপ্টেম্বর মারা যান, তবে তার মৃত্যুর কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে দুবাইয়ের আবুধাবি দূতাবাস থেকে কাগজপত্রের জন্য পরিবারের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়েছে বলে কোহিনুর আক্তার জানান।
তিনি আরও জানান, কারাগারে থাকা অন্য বন্দিরাই প্রথমে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় আব্দুল হামিদের অসুস্থতার খবর দেন এবং পরে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আব্দুল হামিদের পরিবার দ্রুত সময়ের মধ্যে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদানের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসও আব্দুল হামিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দূতাবাস জানায়, তারা ইতোমধ্যে মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং মৃতদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পুলিশ প্রতিবেদন ও মৃত্যু সনদ পাওয়া সাপেক্ষে মৃতদেহ ‘যথাজ্ঞ শিগগিরই সম্ভব‘ দেশে পাঠানো হবে এবং পরবর্তী অগ্রগতিসমূহ যথাসময়ে পরিবারকে জানানো হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও ২৪ জন প্রবাসী বাংলাদেশি এখনো আমিরাতের কারাগারে বন্দি রয়েছেন।