খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম সাশ্রয়ের মধ্যে রাখতে সক্ষম হয়েছে। চার মাসে এই কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি চলমান থাকবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউস-এ অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও আমন সংগ্রহ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তুতি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রাজশাহী অঞ্চল দেশের খাদ্য গুদাম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খাদ্য উৎপাদন ও মজুত দুটোই পর্যাপ্ত থাকবে। দেশে চালের ব্যাপক চাহিদার কারণে আমদানির প্রয়োজন হচ্ছে। তবে এবার সর্বোচ্চ চার লাখ টন চাল আমদানি করা হবে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় রাজশাহীর নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ভালোমানের চাল বিতরণ করা হচ্ছে, যা স্বল্প আয়ের মানুষের ভোগান্তি কমিয়েছে।
তিনি আরও জানান, কৃষি ভর্তুকি কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কৃষকদের সমস্যা সমাধান করা হবে। কৃষকরা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ফ্রন্টলাইনের সৈনিক, তাই তাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলেও সরকার তাদের লাভ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবার বোরো মৌসুমে কেজিপ্রতি ৪ টাকা বেশি দামে চাল কেনা হয়েছে এবং আমনের দাম নির্ধারণে কৃষকের প্রকৃত খরচ বিবেচনা করা হবে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, রাজশাহীসহ সারা দেশে খাদ্য মজুতের কোনো সংকট নেই। উৎপাদন ও সংরক্ষণের সক্ষমতা—দুই দিক থেকেই বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে রয়েছে।
সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।