জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় স্বৈরাচার হাসিনাস ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে, আজ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহামুদুর রহমানকে শেখ হাসিনার আইনজীবী দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করবেন।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন তিনি।
এর আগে, গত ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্য দেন তিনি।
সাক্ষ্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সাথে চুক্তি হয় তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের। দেওয়া হয় চাকরি ও ‘সেইফ এক্সিটের’ নিশ্চয়তা।
এ সময়, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, শেখ তাপস ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ষড়যন্ত্রেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সেনাবাহিনীকে দুর্বল করাই ছিল এর লক্ষ্য। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সৃষ্ট একটি মেটিকুলাস প্ল্যানিং এর মাধ্যমে এটা করা হয়েছিল বলে জানান মাহমুদুর রহমান। সেই প্লানিংয়ে বিদেশি শক্তি জড়িত ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী মামুনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে সাক্ষ্য দেন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।