বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রকে বাস্তবায়নের জন্য একটি মাত্র অস্ত্র রয়েছে। সেটা ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বন্দুক নয়, সেটা হচ্ছে নির্বাচন। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের মাধ্যমেই এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সোমবার (২৫ আগস্ট) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। শেখ হাসিনার বন্দুক দিয়ে নয়, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আমরা বিগত ১৫ বছর ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে এসেছি। এই আন্দোলনে আমরা মামলা-মোকদ্দমা, গুম, খুনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এক বছর আগে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জনতার যোগদানের মধ্য দিয়ে এ আন্দোলন স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলশ্রুতিতে শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি’র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র মানে হলো জনগণের অধিকার। জনগণ যেন অবাধে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। যে প্রতিনিধি ভালো কাজ করবে, জনগণ তাকে পুনরায় নির্বাচিত করবে আর খারাপ করলে, জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। এটিই গণতন্ত্রের শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়ে গেছেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গে ড. মঈন খান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ প্রায় ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। ২০০৯ সালে যাদের বয়স ১৮ বছর ছিলো না, আজ তারা ৩৫ বছরে পৌঁছেছে। তারা এই ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা অবশেষে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।