পর্তুগালে অভিবাসন সংক্রান্ত এক নতুন রেকর্ড গড়েছে গত বছর। দেশটিতে অভিভাবকবিহীন (এককভাবে আগত) অভিবাসী শিশুদের সংখ্যা পৌঁছেছে নজিরবিহীন মাত্রায়। ইন্টিগ্রেশন, মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম এজেন্সি (আইমা)–এর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালে আশ্রয়প্রার্থী একক নাবালকদের আবেদন সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ১৫০ পার্সেন্টেরও বেশি।
আইমা জানায়, গত বছর মোট ২০৪ জন শিশু ও কিশোর পর্তুগালে প্রবেশ করেছে কোনো অভিভাবক বা অভিভাবকের তত্ত্বাবধান ছাড়া — যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যা। এই শিশুদের বেশিরভাগের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর, এবং তারা মূলত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে এসেছে; বিশেষ করে গাম্বিয়া, এরপর সেনেগাল, গিনি ও মালি থেকে আগতদের সংখ্যাই বেশি।
পর্তুগিজ দৈনিক জার্নাল দ্য নোটিসিয়াসের বরাতে জানা গেছে, ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আরও প্রায় ৬০টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে।
পর্তুগালের আশ্রয় আইনে বলা আছে, আইমাকে প্রতিটি একক নাবালকের মামলা সংশ্লিষ্ট আদালতে রিপোর্ট করতে হয়, যাতে তাদের উপযুক্ত সুরক্ষা ও যত্ন নিশ্চিত করা যায়। প্রতিটি শিশুর সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, এবং প্রয়োজনে অ-আক্রমণাত্মক ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে বয়স যাচাই করা হয়।
অভিবাসী শিশুদের আগমন বৃদ্ধির ফলে সামাজিক সহায়তা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ বেড়েছে, বিশেষ করে Aldeias de Crianças SOS (SOS Children’s Villages)–এর মতো সংগঠনগুলো, যারা এই শিশুদের জন্য আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান করে।
সংস্থাটি জার্নাল দ্য নোটিসিয়াসকে জানায়, “এই শিশুরা সাধারণত ভালো জীবনযাপনের আশায় দেশ ছাড়ে। সিদ্ধান্তটি অনেক সময় কঠিন হলেও তা প্রায়ই পরিবারের সহযোগিতায় নেওয়া হয়।”