১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডিসেম্বরে পর্তুগালে অনিয়মিত অভিবাসী প্রত্যাবর্তন আইন সংসদে উঠছে

পর্তুগালে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্দেশ্যে নতুন অভিবাসী প্রত্যাবর্তন আইন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্সি মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো। ২০২৬ সালের রাষ্ট্রীয় বাজেটের বিশেষায়িত আলোচনায় তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী আরও জানান, “আগামী মাস থেকেই নতুন আইন নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। তারপর ডিসেম্বরের মধ্যে এটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে অভিবাসন ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার রক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”

সাম্প্রতিক সময়ে মরক্কো থেকে আগত অভিবাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অপব্যবহার নিয়ে আলোচনা হলে মন্ত্রী জানান, “আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে খুব কম এবং পর্তুগালে উত্তর ও মধ্য ইউরোপের মতো ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশ ঘটছে না।”

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে পর্তুগালে আশ্রয়ের জন্য করা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার আবেদন, আর চলতি বছরের শুরুতেই সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩০০। বর্তমানে দেশটিতে বসবাস করছেন প্রায় ১৫ লাখ অভিবাসী এবং ৬৫ হাজার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়া ব্যক্তি, যাদের মধ্যে ৬১ হাজারই ইউক্রেনীয়। প্রেসিডেন্সি মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো বলেন, যদিও পর্তুগালে এখনো অভিবাসন নিয়ে তীব্র চাপ সৃষ্টি হয়নি, তবুও কিছু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

আলোচনার সময় সংসদের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের একাংশ নতুন আইনের মাধ্যমে রেমিগ্রেশন প্রয়োগের আশঙ্কা প্রকাশ করলে মন্ত্রী তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি কারও মৌলিক অধিকার খর্ব করবে না বা অযৌক্তিক ফেরত পাঠানো শুরু করবে না। এসময় কট্টর ডানপন্থী সংসদরা রেমিগ্রেশন বাস্তবায়ন করার উপর জোর দেন।

উল্লেখ্য; গত মাসেই বিভিন্ন কঠোর নীতি নির্ধারণ করে দেশটির অভিবাসন আইন পরিবর্তন করা হয়। এমনকি এক সপ্তাহ আগেও দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের পর্তুগিজ নাগরিকত্ব আবেদনের সময় ১০ বছর বাড়িয়ে সংসদে ইউরোপের অন্যতম কঠোর নাগরিকত্ব আইনের অনুমোদন দেয়া হয় যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।