১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

‘শারীরিক সম্পর্ক’ মানেই ধর্ষণ নয়, দিল্লি হাইকোর্টের রায়

দিল্লি হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, শুধুমাত্র ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি উচ্চারণ করলেই তা ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না। কোনো প্রমাণ ছাড়া এমন অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার ধর্ষণ বা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের মামলা টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট নয়।

বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ১৭ অক্টোবরের রায়ে এক ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছেন, যিনি এর আগে ১০ বছরের সাজা পেয়েছিলেন। ২০২৩ সালের মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০১৪ সালে অভিযুক্ত এক আত্মীয় এক ১৬ বছরের কিশোরীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ এক বছর ‘শারীরিক সম্পর্ক’ স্থাপন করেছিলেন।

আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, কিশোরী ও তার বাবা-মা কেবল উল্লেখ করেছিলেন যে ‘শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে’, কিন্তু তার প্রকৃতি বা অর্থ ব্যাখ্যা করেননি। আদালত মন্তব্য করেছে, ‘এভাবে অস্পষ্টভাবে বলা ‘শারীরিক সম্পর্ক’ কথাটি আইনগতভাবে ধর্ষণ প্রমাণের মানদণ্ডে পড়ে না।’

বিচারপতি ওহরি বলেছেন, শিশু সাক্ষীর বক্তব্য অসম্পূর্ণ হলে আদালতের দায়িত্ব থাকে প্রশ্ন করে তা পরিষ্কার করা। ফরেনসিক বা চিকিৎসা প্রমাণ না থাকায় মামলাটি মূলত মৌখিক সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করেছিল।

রায়ে বলা হয়েছে, ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দটি ভারতীয় দণ্ডবিধি বা পকসো আইনে সংজ্ঞায়িত নয়, তাই এর অর্থ নির্ভর করে সাক্ষীর বক্তব্যের ওপর। আদালত জানিয়েছে, বিচার হয় প্রমাণের ভিত্তিতে, প্রমাণ না থাকলে দণ্ড টেকসই হবে না।

আইনজীবীরা বলছেন, এই রায় যৌন অপরাধ মামলায় প্রমাণের মানদণ্ড নতুনভাবে নির্ধারণ করবে এবং সমাজে প্রচলিত ‘শারীরিক সম্পর্ক’ শব্দের আইনগত ব্যাখ্যা পরিবর্তন করবে।

সূত্র: এনডিটিভি