আন্তর্জাতিক জলসীমায় গাজার পথে যাত্রাকালে ইসরায়েলি সেনারা অন্তত ১৩টি নৌযান আটক করেছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, আটক নৌযানগুলোতে ৩৭ দেশের ২০১ জনেরও বেশি মানুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে ২১ জন তুরস্কের নাগরিক। এছাড়া স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন নাগরিক রয়েছেন। নিরস্ত্র বেসামরিকদের এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়াকে অনেক বিশ্বনেতা ‘অপহরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ফ্লোটিলার ওপর ইসরায়েলি আক্রমণ ছিল একটি “সন্ত্রাসী কার্যক্রম”, যা নিরীহ বেসামরিক মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। তুরস্ক আরও জানায়, ফ্লোটিলায় থাকা তুর্কি নাগরিক ও অন্যান্যদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইতালিজুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের হামলা ও ফ্লোটিলায় থাকা কর্মীদের আটক করার ঘটনায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি দেশটির সব ইসরায়েলি কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছেন এবং কলম্বিয়া-ইসরায়েলের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করেছেন। এক্স-এ দেওয়া পোস্টে তিনি একে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সংঘটিত “নতুন আন্তর্জাতিক অপরাধ” বলে আখ্যা দেন।
অন্য এক পোস্টে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, নেতানিয়াহু আবারও তার বৈশ্বিক ভণ্ডামি প্রমাণ করলেন। তিনি একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী, যাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা উচিত।
তিনি আরও জানান, কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা