প্রায় দেড় যুগ ধরে এক ছাদের নিচে সংসার করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিত। অথচ এতদিন পর এসে নিজের স্ত্রীকে ‘নারী’ প্রমাণের জন্য এখন দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে ম্যাক্রোঁকে।
মূলত, মার্কিন ডানপন্থি ইনফ্লুয়েন্সার ক্যানডেস ওয়েন্স সম্প্রতি দাবি করেন, ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। চাঞ্চল্যকর এ দাবি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে ঝড়ের বেগে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যান ম্যাক্রোঁ দম্পতি। শেষ পর্যন্ত ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাই করে বসেন তারা।
এবার মামলার লড়াইয়ে জিততে স্ত্রীকে ব্রিজিতকে ‘নারী’ প্রমাণে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও পারিবারিক ছবি উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
মামলায় ম্যাক্রোঁ দম্পতির পক্ষে আইনজীবী টম ক্লেয়ার জানান, স্ত্রীকে নিয়ে এমন দাবি শুনে ব্যথিত হন ব্রিজিত নিজেও। বিবিসির ‘ফেম আন্ডার ফায়ার’ পডকাস্টে তিনি বলেন, ‘একজন ব্যক্তি যখন পরিবার ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব একসাথে পালন করেন, তখন পারিবারিক আক্রমণ তার উপর প্রভাব ফেলে। প্রেসিডেন্ট বলেই যে তিনি এসবের বাইরে থাকবেন—তা নয়।’
আইনজীবী ক্লেয়ার জানান, কী ধরনের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপস্থাপন করা হবে, তা এখনই জানানো হবে না। তবে মিথ্যা দাবির জবাবে যথেষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ এসব প্রমাণ দিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সত্য প্রতিষ্ঠায় যদি ব্যক্তিগত ছবি কিংবা তথ্য দিতে হয়, তবে ব্রিজিত প্রস্তুত।
বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, ব্রিজিত কি গর্ভাবস্থার ছবি কিংবা সন্তানদের বড় করার ছবি আদালতে উপস্থাপন করবেন? উত্তরে ক্লেয়ার বলেন, আদালতের প্রয়োজন হলে, এমন সব প্রমাণও উপস্থাপন করা হবে।