সুদানের দারফুর অঞ্চলে একটি মসজিদে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের এল-ফাসের শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। টিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে দেশটির এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের বরাতে বলা হয়, সুদানের দারফুর অঞ্চলে একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
তবে চিকিৎসা সূত্রের হিসাবে, এ ঘটনায় ৭৮ জন মারা গেছে ও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ তোলার কাজ চলছে।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মসজিদের পাশে প্রায় ৩০টি মরদেহ কাফনের কাপড় বা কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় রাখা হয়েছে।
বিবিসি জানায়, এল-ফাশার শহরে হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) কে দায়ী করা হয়েছে, তবে দলটি এখনও দায় স্বীকার করেনি। আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স গ্রুপ’ জানায়, আবু সোউক ক্যাম্পের মসজিদে এ হামলা হয়। যা রাজধানী দারফুরের উত্তর দিকে অবস্থিত। মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এল-ফেসার শহরটি গত ১৮ মাস ধরে আরএসএফের অবরোধের মুখে রয়েছে। যা সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুরের শেষ অঞ্চল। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। যা পরবর্তীতে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউমেনিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাব গত বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে। এতে দেখা যাচ্ছে আরএসএফের সেনারা ওই অঞ্চলটির চারদিক দিয়ে এগিয়ে আসছে। যারমধ্যে আবু সোউক ক্যাম্প এবং ইউনিমিডের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি এখন আরএসএফ বিরোধী যৌথ বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।