রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (১০ নভেম্বর) সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থানে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করা হলে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে সম্প্রতি ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রেস উইং জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল ও সেন্ট জোসেফ স্কুল প্রাঙ্গণে ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রেস উইং আরও জানায়, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ডিএমপি সমন্বিতভাবে শহরজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে। এই জঘন্য ও কাপুরুষোচিত হামলায় জড়িত প্রত্যেককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজধানীর সব গির্জা এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আন্তঃধর্মীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।
আজ সোমবার সকালে ঢাকার চারটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সীমানার ভেতরে ও সামনের সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনেও একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এছাড়া ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারের সামনে এবং ধানমন্ডি ৯ নম্বরের ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।