১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যেভাবে খাবার ঘরে আভিজাত্য আনবেন

যেমন হবে আসবাবপত্র :

খাবার টেবিলের ওপরের অংশ হতে পারে মার্বেল বা গ্রানাইটের, যা ঘরে এনে দেবে পরিমিত আভিজাত্য ও টেকসই সৌন্দর্য। চাইলে পুরো টেবিলটাই তৈরি করা যেতে পারে সেগুন বা ওক কাঠ দিয়ে। সে ক্ষেত্রে টেবিল টপে কাঠের স্বাভাবিক গড়ন ও টেক্সচারে আনতে পারেন বৈচিত্র্য—প্রাকৃতিক রেখাকে রেখে বা কৃত্রিম নকশার ছোঁয়ায়। মানসম্মত রঙের প্রলেপ ব্যবহার করলে সেই কাঠে উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠবে অভিজাততার ছাপ।

চেয়ারে কাপড় বা লেদার ব্যবহারে বাড়বে টেবিল সেটের নান্দনিকতা ও আরাম। ধ্রুপদি বা ক্ল্যাসিক ধাঁচের অন্দরসজ্জায় ভারী গড়নের আসবাব মানায় বেশি, আর আধুনিক ধারার সাজে চলে হালকা নকশা ও সরল রেখার ফার্নিচার। আসবাবের রঙ হতে পারে বৈচিত্র্যময়—সাদার সঙ্গে সোনালি কারুকাজ, অথবা বেজ টোনের মতো নরম, মার্জিত কোনো রঙেও আনতে পারেন কাঙ্ক্ষিত সৌন্দর্য।

রঙে রঙ্গিন দেয়াল :

খাবার ঘরের দেয়ালে থাকতে পারে গাঢ় সবুজ, গাঢ় নীল, নেভি ব্লু, রয়েল ব্লু, গাঢ় ধূসর বা চারকোল রঙের মতো গাঢ় রং। চাইলে ছাদেও রাখতে পারেন একই রং। দারুণ দেখাবে। আবার চাপা সাদা, হালকা বেজ, হালকা ধূসর বা হালকা কফি রঙের মতো নিরপেক্ষ রংও ব্যবহার করা যায় দেয়ালে। তবে এ ক্ষেত্রে যেকোনো একটি দেয়ালে মানানসই গাঢ় রং রাখলে আভিজাত্যের ছোঁয়া পাবেন।

দেয়ালসজ্জা :

দেয়ালসজ্জায় কাঠের প্যানেল যোগ করতে পারেন। সেগুন কিংবা গর্জন কাঠের প্যানেল করে সেটিকে মানানসই রঙে রাঙিয়ে নিলে নজর কাড়বে। বৈপরীত্য আনতে সোনালি, কালো বা ব্রোঞ্জ রঙের খানিকটা ব্যবহার হতে পারে প্যানেলটিতে। সেখানে স্টেইনলেস স্টিল বা অন্যান্য ধাতব উপকরণও কাজে লাগানো যেতে পারে। বড় পেইন্টিং ঝোলাতে পারেন একটি দেয়ালে।

আলোর ব্যবস্থা :

এমন আলোর ব্যবস্থা করুন, যা স্বস্তিদায়ক। আলোই যেন অতিথিদের অভ্যর্থনা করে। ২৭০০-৩০০০ কেলভিন আলো বেছে নিতে পারেন। প্রয়োজনে আলোর রং ও তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানো যায়, এমন উৎসের আলোর ব্যবস্থাও করতে পারেন। ছাদ থেকে ঝোলাতে পারেন ঝাড়বাতি বা পেনডেন্ট লাইট। কিংবা দেয়ালে রাখুন আলোর দৃষ্টিনন্দন উৎস (ওয়াল ব্র্যাকেট লাইট)। পর্দা রাখুন দুই স্তরের। বাইরের আলো আসবে সাদা বা চাপা সাদা রঙের পাতলা পর্দা ভেদ করে। আবার প্রয়োজনে বাইরের আলো বা রোদ আটকানোর জন্য ব্ল্যাক আউট পর্দাও রাখুন।