আবু নাঈম মু শহীদুল্লাহ্
ঐক্যের সুফল :
ইসলামী আন্দোলনের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য মূল দায়িত্বশীলদের মধ্য থেকে নানা চিন্তা ও আইডিয়া সংশ্লিষ্ট ফোরামে উপস্থাপন করা হয় এবং সবার মতামত গ্রহণ করা হয়।
প্রত্যেক মানুষ তার নিজস্ব চিন্তা, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের আলোকে মতামত প্রদান করেন। তাই মতের অমিল বা দ্বিমত থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ভিন্নমতকে সম্মান জানিয়ে যখন সবাই এক অভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়, তখন সৃষ্টি হয় এক সুন্দর, আন্তরিক ও ইতিবাচক পরিবেশ।
সাংগঠনিক সাফল্য অর্জনের জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা। ঐক্য ছাড়া কোনো আন্দোলনই সফল হতে পারে না।
যারা দ্বিমত বা তৃতীয় মত পোষণ করেন, তারাও সাধারণত সংগঠনের কল্যাণের চিন্তা থেকেই তা করে থাকেন। তবে প্রকৃত কল্যাণের চিন্তা কতটা আন্তরিক, তা প্রকাশ পায় সিদ্ধান্ত পরবর্তী আচরণে।
যদি আলোচনার পর গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আন্তরিক আনুগত্য ও সহযোগিতা দেখা যায়, তবে বোঝা যায়—তিনি সংগঠনকে ভালোবেসে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। কিন্তু যদি সিদ্ধান্তের পর আনুগত্যহীনতা বা উদাসীনতা প্রকাশ পায়, তবে বুঝতে হবে সাংগঠনিক জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে।
সাহাবায়ে কেরামের ইখতেলাফ :
মতপার্থক্য নিয়ে পেরেশানি বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও এমন ইখতেলাফ হয়েছে। যেমন
(এক)
রাসুল সাঃ এর হিজরতের ষষ্ঠ বা সপ্তম হিজরীতে সারিয়্যাহ ‘আবদুল্লাহ ইবন হুযাফা আস-সহমি অভিযানে রাসূলুল্লাহ সাঃ আবদুল্লাহ ইবন হুযাফা আস-সহমি (রা:) কে একটি বাহিনীর নেতা (আমির) হিসেবে নিয়োগ করেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত অনুগত ও সাহসী সাহাবি, তবে কখনও-কখনও কড়া সিদ্ধান্তও দিতেন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য । একবার অভিযানের সময় সেনারা তাঁর কোনো একটি আদেশে অস্বস্তি প্রকাশ করলে তিনি পরীক্ষা নিতে চাইলেন যে— “তারা কতটা আনুগত্যশীল”।
তিনি সবাইকে কাঠ জোগাড় করতে বললেন। এরপর কাঠে তিনি আগুন জ্বালালেন এবং বললেন, আমি তোমাদের আদেশ দিচ্ছি, তোমরা এতে প্রবেশ করো। সৈন্যদের মধ্যে কেউ বলল, “আমরা তো রাসূলুল্লাহ (সা:)এর কাছে এসেছি আগুন থেকে রক্ষা পেতে তাহলে আমরা এতে কেন প্রবেশ করব?তারা দ্বিধায় পড়ে গেল। কেউ ভাবল — আদেশ মানতে হবে, আবার কেউ ভাবল — এটা অন্যায় আদেশ।
শেষে তারা সিদ্ধান্ত নিল — “আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর কাছে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত এতে প্রবেশ করব না।” তারা ফিরে এসে এই ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে জানাল।তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, “যদি তোমরা এতে প্রবেশ করতে, তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত আর বের হতে না।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু ন্যায়ের (মাকরূফ) ক্ষেত্রে নেতার আনুগত্য করা যায়।— সহীহ বুখারী: ৪৩৪০, সহীহ মুসলিম: ১৮৪০
এ ঘটনার মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্পষ্ট করলেন, “নেতার আনুগত্য আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্যের অধীন। তবে অন্যায় নির্দেশের আনুগত্য করা যাবে না।
এটি ইসলামী রাষ্ট্রনীতি ও সংগঠন শৃঙ্খলার মৌলিক নীতি হয়ে গেছে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ
“হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রসূলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা দায়িত্বে আছে তাদেরও — কিন্তু যদি কোনো বিষয়ে মতবিরোধ হয়, তা আল্লাহ ও রসূলের কাছে ফেরত দাও।” — সূরা নিসা ৪:৫৯
(দুই)
হযরত আবু বকর ও ওমর (রাঃ) এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মতানৈক্য তৈরী হত আবার ঐক্যমত হয়ে মুসলিম মিল্লতের জন্য কাজ করতো। উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি তুলে ধরলাম.
হুদায়বিয়া চুক্তির সময় মতভেদ- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কুরাইশদের সঙ্গে হুদায়বিয়া চুক্তি করেন (৬ হিজরি)। এতে অনেক শর্ত মুসলিমদের দৃষ্টিতে কঠিন ছিল। উমর (রা.) অসন্তুষ্ট হয়ে বলেছিলেন, আমরা কি সত্যের পক্ষে নয়? তাহলে কেন আমরা এভাবে অপমানজনক চুক্তি করছি?”আবু বকর (রা.) তাঁকে শান্ত করেন এবং বলেন:
হে উমর! তিনি আল্লাহর রসূল। আল্লাহ তাঁকে কখনো হীন করবেন না। (সহীহ বুখারী, হাদীস ২৭৩১)
পরে উমর (রা.) বলেন:আমি সেই দিনের জন্য এত বেশি সদকা, রোযা ও নামাজ করেছি, যাতে আমার সে কথার প্রায়শ্চিত্ত হয়।
বদর যুদ্ধের বন্দীদের নিয়ে মতপার্থক্য :
বদর যুদ্ধের পর মুসলমানদের হাতে বহু কাফের বন্দী হয়েছিল । তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবিদের মতামত চান — তখন আবু বকর (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! তারা আমাদের আত্মীয়-স্বজন। তাদের মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিন। হয়তো আল্লাহ তাদের ইসলাম দান করবেন।
উমর (রা.) বললেন, না! তারা আল্লাহ ও রসূলের শত্রু। প্রত্যেক মুসলিম যেন তার আত্মীয় কাফেরকে হত্যা করে। এতে ইসলাম শক্তিশালী হবে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭৬৩)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তখন আবু বকর (রা.)-এর মত গ্রহণ করেন, কিন্তু পরের দিন আল্লাহর তরফ থেকে ওহি নাযিল হয়:
مَا كَانَ لِنَبِیٍّ اَنْ یَّكُوْنَ لَهٗۤ اَسْرٰى حَتّٰى یُثْخِنَ فِی الْاَرْضِ١ؕ تُرِیْدُوْنَ عَرَضَ الدُّنْیَا١ۖۗ وَ اللّٰهُ یُرِیْدُ الْاٰخِرَةَ١ؕ وَ اللّٰهُ عَزِیْزٌ حَكِیْمٌ
সারা দেশে শত্রুদেরকে ভালভাবে পর্যুদস্ত না করা পর্যন্ত কোন নবীর পক্ষে নিজের কাছে বন্দীদের রাখা শোভনীয় নয়। তোমরা চাও দুনিয়ার স্বার্থ। অথচ আল্লাহর সামনে রয়েছে আখেরাত। আর আল্লাহ পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞ। — সূরা আনফাল ৮:৬৭
এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন: যদি শাস্তি নাযিল হতো, তবে শুধু উমর ছাড়া কেউই রক্ষা পেত না। (সহীহ মুসলিম ১৭৬৩)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর মৃত্যু পরবর্তী খিলাফত নিয়ে মতপার্থক্য :
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইন্তিকালের পর পরই মুসলিম মিল্লতের নেতা কে হবেন এ বিষয়ে মতভেদ তৈরী হয়। আনসাররা সাকিফা বনু সাঈদাহ নামক স্থানে একত্রিত হয়ে সা‘দ ইবনে উবাদা (রা.)-নাম প্রস্তাব করেন। এই সময় আবু বকর (রা.), উমর (রা.), এবং আবু উবাইদাহ (রা.) সেখানে উপস্থিত হন। তখন আবু বকর (রা.) বলেন: উমর ও আবু উবাইদাহ — তোমরা দুজনই উপযুক্ত, আমি তোমাদের মধ্যে যেকোনো একজনের প্রতি বায়আত করতে প্রস্তুত। কিন্তু উমর (রা.) সঙ্গে সঙ্গে বলেন: না, আল্লাহর কসম! আমরা তোমার চেয়ে অধিক উপযুক্ত কাউকে দেখি না। তুমি-ই রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর সহচর ও দ্বিতীয় ব্যক্তি গুহায় (সওর পাহাড়ে)।” (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৮৩০)
উমর (রা.) নিজে উদ্যোগ নিয়ে আবু বকর (রা.)-এর হাতে বায়আত করেন, এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ হন।
এভাবেই আবু বকর (রাঃ) ও ওমর (রাঃ)-এর মধ্যে নীতি নির্ধারণ ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে বহু ইখতেলাফ (মতভেদ) হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে তা সমর্থন করেছেন এবং পারস্পরিক সম্মান ও ভালোবাসা বজায় রেখে একসাথে কাজ করেছেন। মতভেদ থাকলেও, ঐক্য ও আনুগত্যের চেতনা অটুট রাখা-ই ইসলামী নেতৃত্বের সৌন্দর্য
(তিন)
মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক রাখা ও খবর আদান-প্রদান করা নিয়ে সহাবীগণের মধ্যে মতপার্থক্য-
মক্কা বিজয়ের পূর্বে হযরত হাতিব ইবন আবি বালতা’আ (রাঃ)-এক নারী দূতের মাধ্যমে মক্কার মুশরিক নেতাদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যাতে মুসলিম সেনাদের অগ্রযাত্রার তথ্য ছিল। তার উদ্দেশ্য ইসলামের বিরোধিতা করা ছিল না, বরং মক্কায় থাকা নিজের পরিবারকে নিরাপদ রাখার সর্তকতার জন্য বার্তা ছিল। এ জানাজানি হলে হযরত উমর (রাঃ) তাঁকে হত্যার অনুমতি চান।
নবী (সাঃ)বলেন, “সে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে; আল্লাহ হয়তো বদরবাসীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।” (সহীহ বুখারী, হাদীস ৩০০৭)
অতএব, নবী (সাঃ) তাকে মুনাফিক বা কাফের বলেননি, বরং তার উদ্দেশ্য বিবেচনা করেছেন।
এ ঘটনার পর আল্লাহ তায়ালা নাজিল করে বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تَتَّخِذُوْا عَدُوِّیْ وَ عَدُوَّكُمْ اَوْلِیَآءَ تُلْقُوْنَ اِلَیْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَ قَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَآءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ١ۚ یُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَ اِیَّاكُمْ اَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ رَبِّكُمْ١ؕ اِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِیْ سَبِیْلِیْ وَ ابْتِغَآءَ مَرْضَاتِیْ١ۖۗ تُسِرُّوْنَ اِلَیْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ١ۖۗ وَ اَنَا اَعْلَمُ بِمَاۤ اَخْفَیْتُمْ وَ مَاۤ اَعْلَنْتُمْ١ؕ وَ مَنْ یَّفْعَلْهُ مِنْكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَآءَ السَّبِیْلِ
হে ঈমানদারগণ, যদি তোমরা আমার পথে জিহাদ করার জন্য এবং আমার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে (জন্মভুমি ছেড়ে ঘর থেকে) বেরিয়ে থাক তাহলে আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে না। তোমরা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা কর, অথচ যে সত্য তোমাদের কাছে এসেছে তারা তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের আচরণ হলো, তারা রসূলকে এবং তোমাদেরকে শুধু এই অপরাধে জন্মভূমি থেকে বহিষ্কার করে যে, তোমরা তোমাদের রব আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছো। তোমরা গোপনে তাদের কাছে বন্ধুত্বমূলক পত্র পাঠাও। অথচ তোমরা গোপনে যা করো এবং প্রকাশ্যে যা করো তা সবই আমি ভাল করে জানি। তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তিই এরূপ করে নিশ্চিন্তভাবেই সে সত্যপথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে।-(আল-মুমতাহিনাহ ০১)
এতে বুঝানো হয়েছে মানবিকতা বজায় রাখতে হবে কিন্তু ঈমানের সীমা অতিক্রম করে নয়।
আতএব মতপার্থক্য থাকবে এরপর সঠিকটা সামনে আসলে তা গ্রহণ করতে হবে, বাড়াবাড়ি না করে বিনম্রভাবে আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে।
যে সকল ব্যক্তি দুনিয়াতে তা করবে আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ায় ও আখরাতে সম্মানিত করবেন।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন,
الَّذِیْنَ یَسْتَمِعُوْنَ الْقَوْلَ فَیَتَّبِعُوْنَ اَحْسَنَهٗ١ؕ اُولٰٓئِكَ الَّذِیْنَ هَدٰىهُمُ اللّٰهُ وَ اُولٰٓئِكَ هُمْ اُولُوا الْاَلْبَابِ
যারা মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে এবং তার ভাল দিকটি অনুসরণ করে। এরাই সেসব মানুষ যাদের আল্লাহ হিদায়াত দান করেছেন এবং এরাই বুদ্ধিমান।- আয-যুমার ১৮
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
وَ اِذَا قِیْلَ لَهُمْ تَعَالَوْا اِلٰى مَاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ وَ اِلَى الرَّسُوْلِ رَاَیْتَ الْمُنٰفِقِیْنَ یَصُدُّوْنَ عَنْكَ صُدُوْدًاۚ
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, এসো সেই জিনিসের দিকে, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং এসো রসূলের দিকে, তখন তোমরা দেখতে পাও ঐ মুনাফিকরা তোমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।— সূরা নিসা, আয়াত ৬১
আন্দোলনের কল্যান জেনেও যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন:
اَللّٰهُ یَحْكُمُ بَیْنَكُمْ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ فِیْمَا كُنْتُمْ فِیْهِ تَخْتَلِفُوْنَ
তোমরা যেসব বিষয়ে মতভেদ করছো আল্লাহ কিয়ামতের দিন তোমাদের মধ্যে সেসব বিষয়ে ফায়সালা করে দেবেন।” অহংকার ত্যাগ করে সত্য গ্রহণ করলে আল্লাহর ভালোবাসা ও মর্যাদা অর্জিত হয় এবং জান্নাতের পথ সুগম হয়। জান্নাত প্রাপ্তির লক্ষ্য প্রতিযোগিতা মুলক কাজ করার কথা আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
“তোমরা পরস্পর সৎকর্ম ও তাকওয়ায় সহযোগিতা করো, কিন্তু পাপ ও সীমালঙ্ঘনে সহযোগিতা করো না।”— [সূরা মায়িদাহ ৫:২]
লেখক :সভাপতি, পর্তুগাল মুসলিম কমিউনিটি ( CRCIPT)
১ম পর্ব : মতানৈক্য, ঐক্য ও সফলতা
২য় পর্ব : মতানৈক্য, ঐক্য ও সফলতা