ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে। বর্তমানে ১৪৫টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির এই আহ্বানে যুক্ত হয়েছে।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া অধিকাংশ দেশই ১৯৮৮ সালে এই পদক্ষেপ নেয়, যখন ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) রাষ্ট্র ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এরপর ১৯৯০, ২০০০ ও ২০১০-এর দশকে প্রধানত পশ্চিমা দেশ ব্যতীত অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০২৪ সালের শেষ দিকে আরও কিছু ইউরোপীয় ও ক্যারিবীয় দেশ—বার্বাডোস, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, নরওয়ে এবং স্পেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেই সময় আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানান ‘বিশ্বের কথা শুনতে’ এবং গাজার মানবিক সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে।
সর্বশেষ, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা ও ফ্রান্স ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে। একই সময় যুক্তরাজ্য শর্তসাপেক্ষে জানিয়েছে, যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
এই ঘোষণাগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে তার কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রদের তুলনায় ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আরও বিচ্ছিন্ন অবস্থানে ফেলেছে; বিশেষত ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও সহায়তা সীমাবদ্ধতা নিয়ে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব ইউরোপীয় দেশের স্বীকৃতি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে এবং একে ‘হামাসকে পুরস্কার’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই স্বীকৃতি প্রচেষ্টার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
এই ঘটনাগুলো এমন সময় ঘটছে, যখন গাজায় খাদ্য সংকট ও মানবিক দুর্ভিক্ষ বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠন ইসরায়েলের মানবিক সহায়তা অবরোধকে দায়ী করে এর নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র: সিএনএন