পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ১৪০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত গ্লোরিয়া ফানিকুলার ট্রাম্প লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে পতুর্গিজ সরকার।
লিসবনে তিন দিনের শোক পালনের কথা জানিয়ে শহরের মেয়র কার্লোস মোয়েদা বলেছেন, আমাদের শহরে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। যে কোনো পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকবে শহর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ফানিকুলাটি দ্রুতগতিতে নিচে নামতে গিয়ে পাশের একটি ভবনে ধাক্কা খায়। মুহূর্তেই এটি কাঠের বাক্সের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
আহতদের লিসবনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক গর্ভবতী নারী ও তার শিশু সন্তানও রয়েছে। গর্ভবতী নারীকে মেটারনিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তার শিশুকে শিশুদের বিশেষায়িত হাসপাতাল “দোনা এস্টেফানিয়া”-তে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ও আহতদের মধ্যে দেশি-বিদেশি পর্যটক রয়েছেন। তবে বিদেশিদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি।