পর্তুগালের অভিবাসন ও আশ্রয়বিষয়ক সংস্থা আইমা-এর ধীরগতি ও অব্যবস্থাপনা অভিবাসীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। সংস্থাটির অদক্ষতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অভিবাসন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুধুমাত্র লিসবনের প্রশাসনিক আদালতেই গত কয়েক মাসে আইমার বিরুদ্ধে ২১ হাজারের বেশি মামলা জমা পড়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০০টিরও বেশি নতুন আবেদন আদালতে দাখিল হচ্ছে—যার বেশিরভাগই সেবা প্রদানে বিলম্ব বা সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগে।
আইনজীবী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আইমা অনেক ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে গেলেও আবেদনকারীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে না, বরং অনেকের ফাইল বছরের পর বছর অচল অবস্থায় পড়ে আছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বিলুপ্ত সেফ-এর পরিবর্তে আইমা গঠন করা হয়। তখনই প্রায় ৩ লাখ ৩০ হাজার আবেদন পেন্ডিং ছিল, যা এখন বাড়তে বাড়তে ৪ লাখ ছাড়িয়েছে।
পর্তুগিজ সরকার আইমার কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি ৬ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে এবং একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, জনবল সংকট ও প্রশাসনিক কাঠামোগত দুর্বলতা দূর না করলে কেবল অর্থ বরাদ্দে কোনো বাস্তব পরিবর্তন আসবে না।
পর্তুগালে বসবাসরত ও নতুন করে অভিবাসনের পরিকল্পনায় থাকা বাংলাদেশিসহ বিদেশি নাগরিকদের জন্য এ অবস্থা একটি সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক জটিলতা তাদের প্রবাস জীবনকে আরও অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিতে পারে।