বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের অভিযোগকে কেন্দ্র করে আবারও সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ফিলিপাইন। রাজধানী ম্যানিলায় রবিবার হাজার হাজার মানুষ দুর্নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলনকারীরা শুধু সরকারের পদক্ষেপেই ক্ষুব্ধ নয়, তারা প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থার পরিবর্তনেরও দাবি তুলেছে।
প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, বরাদ্দকৃত ৯৫৪ কোটি ডলার পুরোপুরি লুটপাট করেছে রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা। অথচ দেশটিতে প্রতিবছর বন্যায় লাখো মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
এনপিএ চেয়ারপারসন টেডি ক্যাসিনো বলেন, “বছরের পর বছর বন্যায় ভুগছে মানুষ। অথচ সমস্যার সমাধানে কোটি কোটি ডলার খরচের নাম করে দুর্নীতিবাজরা নিজেদের পকেট ভরেছে। জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাজার হাজার পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে মিছিল, স্লোগান ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। ডেমোক্রেসি মনুমেন্টসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, “আমরা দারিদ্র্যের মধ্যে ডুবে গেছি, ঘরবাড়ি হারিয়েছি, অথচ তারা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। এই সিস্টেম পরিবর্তন চাই, যাতে জনগণ আর ভুক্তভোগী না হয়।”
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মারকোস জুনিয়র স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিলেও আন্দোলনকারীরা তাতে সন্তুষ্ট নয়। বরং তাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট মারকোস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তে দু’জনেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
এদিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ফিলিপাইন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।