দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে এই অঙ্ক দাঁড়ায় ২৫.৯৮ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত রোববার রিজার্ভ ছিল ৩০.৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল ২৫.৭৫ বিলিয়ন ডলার। আগের সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১.৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩০.৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল।
বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে আসা ডলারই মূলত রিজার্ভের প্রধান উৎস।
অন্যদিকে, আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, বিদেশি কর্মীদের পারিশ্রমিক, শিক্ষা ও ভ্রমণ খরচসহ বিভিন্ন খাতে ডলার ব্যয় হলে রিজার্ভ হ্রাস পায়।
দেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি, উল্টো বাজার থেকে ডলার কিনতে পেরেছে। এর ধারাবাহিকতায় ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৩.৪০ কোটি ডলার এবং ২ সেপ্টেম্বর আটটি ব্যাংক থেকে ৪.৭৫ কোটি ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।