১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রবাস

ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া নীতিতে কঠিনতর হচ্ছে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রাপ্তি

ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া নীতিতে কঠিনতর হচ্ছে মার্কিন নাগরিকত্ব প্রাপ্তি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য নাগরিকত্ব প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় নতুন বাধা তৈরি করছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

অভিবাসন সংশ্লিষ্ট কিছু পরামর্শদাতা গোষ্ঠী আশঙ্কা করছে, গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে প্রশাসনের অবস্থানের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারীদের নতুন আইন ব্যবহার করে ‘আমেরিকা-বিরোধী’ তকমা দেওয়া হতে পারে।

মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলো সম্প্রতি বলেছেন, যারা মার্কিন নাগরিকত্ব চান কিন্তু মার্কিন নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক নন, তাদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করছি।

এ প্রেক্ষিতে সংস্থাটি আগস্টে একটি স্মারকলিপি জারি করে, যাতে নাগরিকত্ব প্রার্থীদের ‘নৈতিক চরিত্র মূল্যায়ন’ প্রক্রিয়াটি আরও কঠোর করা হয়। এখন আবেদনকারীদের অপরাধমূলক ইতিহাস ছাড়াও পারিবারিক দায়িত্ব, শিক্ষাগত অর্জন, কর্মসংস্থান স্থিতি, এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের মতো সামাজিক দিকও খতিয়ে দেখা হবে।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, আমেরিকা-বিরোধী বা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন এবং সামাজিক মাধ্যমে সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডও নজরদারির আওতায় আনা হবে।

ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, নাগরিকত্ব প্রার্থীদের যাচাইয়ে এখন তাদের আশপাশের প্রতিবেশী ও সহকর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন নাগরিকত্ব পরীক্ষায় প্রশ্নের সংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১২৮টি করা হয়েছে, যেখানে প্রার্থীদের অন্তত ২০টির মধ্যে ১২টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে।

২০২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৬ লাখ ৮০ হাজার নাগরিকত্ব আবেদন অনুমোদন করেছে, যা ২০২৪ সালে ছিল ৮ লাখ ১৮ হাজারেরও বেশি। ফলে সামগ্রিক অনুমোদনের হার কমেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।